অফিসিয়াল ট্রিপে যাচ্ছেন। বিশেষ গোছানোর সময় পাননি। খাবার দাবার তো খোদার উপর ছেড়ে দিয়েছেন। টিকেট ওয়েটিং এ আছে। ট্রেনে উঠে দেখা গেল টিকিট কনফার্ম হয়েছে । যাক বাবা বাঁচলেন।
কিন্তু আদপে দেখলেন যে বিষয়টা ততটা সুখের হল না। এমনিই তিস্তাতোর্সায় চেপে অফিসের কাজে যাচ্ছি এই কথাটা একশো একবার লিখলেও মাথায় বসবে না। সবসময়ই মনে হবে আপ্নার উপর ইমোশনাল টর্চার হচ্ছে। তারপর দেখলেন আপনার সিটের ওপরে নিচে সামনে একদল লোকজন হৈ হৈ করতে করতে যাচ্ছে। কোথায় যাচ্ছে? যেখানেই যাক আপ্নার কি বাপু?! হয় দার্জিলিং নয় গ্যাংটক অথবা লাভা লোলে গাঁও, রাবাংলা, গুরুদংমা...যমের দক্ষিণ দুয়ার যেথা খুশি যাক। আপ্নি তো অফিসের কাজে যাচ্ছেন।
যত্ত ভুলভাল লোকজন ! বেড়াতে যাচ্ছিস যা, গতবছর কোথায় গেছিলি, তার আগের বছর...জন্মের মুহূর্তে...জন্মের আগের বেড়ানো সওব গল্প এখানেই ফেঁদে বসতে হবে। এগুলো মেন্টাল টর্চারের আওতায় নিশ্চই পড়ে... ভালো করে সংবিধান খুঁজলে আর্টিকেল গুলো মিলবেই মিলবে।
এই অব্দি যদি বা সহ্য করলেন। এরপর বের হবে থালা-বাটি। মুড়ি মাখা হবে ওখানেই বসে। লুচি-পরোটা- কষা মাংস, ভাত, আলুভাজা, স্যালাড , মিষ্টি দই কিচ্চু ভোলে না এরা। আরে বাবা এনেছিস বলেই কি খেতে হবে!? গরমে একটু কম খাওয়া তো ভালো নাকি! আশ্চর্য উজবুকের দল সব।
হুহু তবে কিনা এইবার আমিও জব্বর টাইট দিলাম। ট্রেনে উঠেই বাড়ি থেকে আনা ঝুরো সিমাই এর বক্সটা খুলে নিয়ে বসলাম। একটু একটু করে মুখে দিই আর মিলিয়ে যায়। একসময় শেষ হয়ে গেল। তবে গল্প কিন্তু শেষ হয়নি। এরপর যখন বড় টিফিন বক্স খোলা হল আর ঝাল ঝাল আলু পটলের তরকারি, সর্ষে মাখা গোটা গোটা ঢেড়শ দিয়ে ডলে ভাতের গরাস মুখে দিলাম। আবেগে চোখ বন্ধ হয়ে এলো। তারপর ছোট্ট একটা বক্সে আনা সেই বিশেষ জিনিষ। যা ট্রেনে হাজার হাজার টাকা ফেললেও পাবা না... হু হু আমার সাথে পাঙ্গা। শোন তবে...একটা বাটিতে গোটা কতক চিংড়ি একটু পেঁয়াজ-রসুন কুঁচিয়ে , গোলমরিচ আর কাঁচালঙ্কার সাথে নুন দিয়ে মেখে সামান্য অলিভ অয়েল দিয়ে মাইক্রো তে মিনিট চারেক জব্দ করলাম। বেসিলও দিলাম অল্প।
এইবার এই বাটি টা ট্রেনে খুলে জাষ্ট একটু একটু করে ভাত মাখলাম। চিংড়ির স্বর্গীয় গন্ধে স্টিয়ারিং ছেড়ে ড্রাইভার ছুটে আসার আগেই শেষ করে দিলাম; নাহলে আবার এত লোকের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি হয়ে যাবে। বাকিরা বেয়াক্কেলে হলেও আমি তো আর নিজের দায়িত্ব কর্তব্য ভুলে যেতে পারি না। হুহঃ যত্তসব লোকজন।
কিন্তু আদপে দেখলেন যে বিষয়টা ততটা সুখের হল না। এমনিই তিস্তাতোর্সায় চেপে অফিসের কাজে যাচ্ছি এই কথাটা একশো একবার লিখলেও মাথায় বসবে না। সবসময়ই মনে হবে আপ্নার উপর ইমোশনাল টর্চার হচ্ছে। তারপর দেখলেন আপনার সিটের ওপরে নিচে সামনে একদল লোকজন হৈ হৈ করতে করতে যাচ্ছে। কোথায় যাচ্ছে? যেখানেই যাক আপ্নার কি বাপু?! হয় দার্জিলিং নয় গ্যাংটক অথবা লাভা লোলে গাঁও, রাবাংলা, গুরুদংমা...যমের দক্ষিণ দুয়ার যেথা খুশি যাক। আপ্নি তো অফিসের কাজে যাচ্ছেন।
যত্ত ভুলভাল লোকজন ! বেড়াতে যাচ্ছিস যা, গতবছর কোথায় গেছিলি, তার আগের বছর...জন্মের মুহূর্তে...জন্মের আগের বেড়ানো সওব গল্প এখানেই ফেঁদে বসতে হবে। এগুলো মেন্টাল টর্চারের আওতায় নিশ্চই পড়ে... ভালো করে সংবিধান খুঁজলে আর্টিকেল গুলো মিলবেই মিলবে।
এই অব্দি যদি বা সহ্য করলেন। এরপর বের হবে থালা-বাটি। মুড়ি মাখা হবে ওখানেই বসে। লুচি-পরোটা- কষা মাংস, ভাত, আলুভাজা, স্যালাড , মিষ্টি দই কিচ্চু ভোলে না এরা। আরে বাবা এনেছিস বলেই কি খেতে হবে!? গরমে একটু কম খাওয়া তো ভালো নাকি! আশ্চর্য উজবুকের দল সব।
হুহু তবে কিনা এইবার আমিও জব্বর টাইট দিলাম। ট্রেনে উঠেই বাড়ি থেকে আনা ঝুরো সিমাই এর বক্সটা খুলে নিয়ে বসলাম। একটু একটু করে মুখে দিই আর মিলিয়ে যায়। একসময় শেষ হয়ে গেল। তবে গল্প কিন্তু শেষ হয়নি। এরপর যখন বড় টিফিন বক্স খোলা হল আর ঝাল ঝাল আলু পটলের তরকারি, সর্ষে মাখা গোটা গোটা ঢেড়শ দিয়ে ডলে ভাতের গরাস মুখে দিলাম। আবেগে চোখ বন্ধ হয়ে এলো। তারপর ছোট্ট একটা বক্সে আনা সেই বিশেষ জিনিষ। যা ট্রেনে হাজার হাজার টাকা ফেললেও পাবা না... হু হু আমার সাথে পাঙ্গা। শোন তবে...একটা বাটিতে গোটা কতক চিংড়ি একটু পেঁয়াজ-রসুন কুঁচিয়ে , গোলমরিচ আর কাঁচালঙ্কার সাথে নুন দিয়ে মেখে সামান্য অলিভ অয়েল দিয়ে মাইক্রো তে মিনিট চারেক জব্দ করলাম। বেসিলও দিলাম অল্প।
এইবার এই বাটি টা ট্রেনে খুলে জাষ্ট একটু একটু করে ভাত মাখলাম। চিংড়ির স্বর্গীয় গন্ধে স্টিয়ারিং ছেড়ে ড্রাইভার ছুটে আসার আগেই শেষ করে দিলাম; নাহলে আবার এত লোকের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি হয়ে যাবে। বাকিরা বেয়াক্কেলে হলেও আমি তো আর নিজের দায়িত্ব কর্তব্য ভুলে যেতে পারি না। হুহঃ যত্তসব লোকজন।

Comments