#অন্য অনিতার ডায়রী
'বারো হাত কাকুড়ের তেরো হাত বিচি' রূপকথার গল্পে হামেশাই সৎমা তার ছেলে/মেয়েকে এই জিনিষ টাই এনে দিতে বলেন। হয়তো রূপকথাগুলো কতটা অবাস্তব তা বোঝার জন্য এইটুকুই যথেষ্ট। কিন্তু আমি বেশ বিশ্বাস করতাম আমার জীবনের সব সমস্যাগুলো একদিন এভাবেই মিটে যাবে। কোন এক ছুটির দিন বাবা-মা হাসতে হাসতে আমায় নিতে আসবে। না আসেনি। উল্টে একদিন বাবা এসে বেশ লাজুক লাজুক মুখে বল্লো আমার ছোট ভাই হয়েছে। গোটা হোস্টেলে গুজগুজ ফুসফুস তারপর অট্টহাস্য সহযোগে যোগে যেটা ভাসতে লাগল তাহল দীর্ঘ বিচ্ছেদের পরিণাম আমার আমার ছোটভাই।
আমার বড়ভাই যখন হয়েছিল তখন আমার চার বছর বয়স। খুব ভালো অভিজ্ঞতা নয়। আতুর ইত্যাদির জন্য মায়ের সাথে দূরত্ব। মায়ের বুকে মুখ গুঁজে ঘুমানোর অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া খুব যন্ত্রণার।
এখন আমার আট বছর। আবার একটি ভাই !! স্বপ্ন বুঝি এভাবেই ভাঙ্গে। আমার জীবনের রূপকথা সত্যি হয়েও হয়না। একটা সময় মনে হয় এরা বুঝি আমার সত্যিকারের বাবা মা নয়। আমি অনাথ। কেন দুটোলোক ঝামেলা করে, আলাদা থাকে আর প্রতিবার মিলনের অর্থ আমার ভাগের ভালোবাসা ভাগ হয়ে যাওয়া...কেন? কেন?
এই সন্তান ধারণের সাথে শারীরিক সম্পর্ক ইত্যাদির যে লিঙ্ক সেটার অল্প স্বল্প আভাষ সেই বয়সে খুব কুৎসিত লাগত। প্রতিটি বিবাহিত নারীপুরুষকে নোংরা মনে হত। কেন রূপকথার গল্পের মত সন্ন্যাসীর দেওয়া আম খেয়েই তো বাচ্চা হতে পারে...এসব কি? মায়ের সাথে রাতে কারোর ঘুমানোটা খুব যন্ত্রণাদায়ক ছিল আমার জন্য...সারারাত জেগে থাকতাম। চমকে চমকে উঠতাম...চেক করতাম মা আমার পাশেই আছে তো!!
রূপকথারা আসে নি আর
বাস্তব কত কঠিন হতে পারে?
সময়ে কি সব ক্ষতই সারে!
রূপকথারা হারায় বার বার
'বারো হাত কাকুড়ের তেরো হাত বিচি' রূপকথার গল্পে হামেশাই সৎমা তার ছেলে/মেয়েকে এই জিনিষ টাই এনে দিতে বলেন। হয়তো রূপকথাগুলো কতটা অবাস্তব তা বোঝার জন্য এইটুকুই যথেষ্ট। কিন্তু আমি বেশ বিশ্বাস করতাম আমার জীবনের সব সমস্যাগুলো একদিন এভাবেই মিটে যাবে। কোন এক ছুটির দিন বাবা-মা হাসতে হাসতে আমায় নিতে আসবে। না আসেনি। উল্টে একদিন বাবা এসে বেশ লাজুক লাজুক মুখে বল্লো আমার ছোট ভাই হয়েছে। গোটা হোস্টেলে গুজগুজ ফুসফুস তারপর অট্টহাস্য সহযোগে যোগে যেটা ভাসতে লাগল তাহল দীর্ঘ বিচ্ছেদের পরিণাম আমার আমার ছোটভাই।
আমার বড়ভাই যখন হয়েছিল তখন আমার চার বছর বয়স। খুব ভালো অভিজ্ঞতা নয়। আতুর ইত্যাদির জন্য মায়ের সাথে দূরত্ব। মায়ের বুকে মুখ গুঁজে ঘুমানোর অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া খুব যন্ত্রণার।
এখন আমার আট বছর। আবার একটি ভাই !! স্বপ্ন বুঝি এভাবেই ভাঙ্গে। আমার জীবনের রূপকথা সত্যি হয়েও হয়না। একটা সময় মনে হয় এরা বুঝি আমার সত্যিকারের বাবা মা নয়। আমি অনাথ। কেন দুটোলোক ঝামেলা করে, আলাদা থাকে আর প্রতিবার মিলনের অর্থ আমার ভাগের ভালোবাসা ভাগ হয়ে যাওয়া...কেন? কেন?
এই সন্তান ধারণের সাথে শারীরিক সম্পর্ক ইত্যাদির যে লিঙ্ক সেটার অল্প স্বল্প আভাষ সেই বয়সে খুব কুৎসিত লাগত। প্রতিটি বিবাহিত নারীপুরুষকে নোংরা মনে হত। কেন রূপকথার গল্পের মত সন্ন্যাসীর দেওয়া আম খেয়েই তো বাচ্চা হতে পারে...এসব কি? মায়ের সাথে রাতে কারোর ঘুমানোটা খুব যন্ত্রণাদায়ক ছিল আমার জন্য...সারারাত জেগে থাকতাম। চমকে চমকে উঠতাম...চেক করতাম মা আমার পাশেই আছে তো!!
রূপকথারা আসে নি আর
বাস্তব কত কঠিন হতে পারে?
সময়ে কি সব ক্ষতই সারে!
রূপকথারা হারায় বার বার
Comments
স্বপ্ন দেখার
সাধ্য থাকবে যে-রূপকথার—
সে রূপকথা আমার একার ।
জয় গোস্বামী