টক-ঝাল-মিষ্টি রান্না
রোজকার কাজকর্ম সামলে যে জিনিষটা আমি সবচেয়ে কম সময়ে ঝটপট করতে পারি তা হল 'রান্না'। অবাক হওয়ার কিচ্ছু নেই। ছোটবেলা থেকেই আমি মানুষটা চূড়ান্ত ফাঁকিবাজ। যে কোন কাজ কে সংক্ষিপ্ত ভাবে করার পদ্ধতি আবিষ্কার করা টা আমার একমাত্র গুণ। এখন কথা হল এইসব ফাঁকিবাজি রান্নাগুলো যে সবসময় বিশাল কিছু অমৃত সমান খেতে হয় তা নয়, তবে অনেকেই আমাকে মাঝে মাঝে জিজ্ঞেস করেন তুমি কি ডায়েট কর? তারা আসলে ভাবেন ডায়েট মানে বোধ হয় খুব বিচ্ছিরি কোন খাবার খুব অল্প পরিমাণে খেয়ে আধপেটা থাকতে হয়। আসলে কিন্তু উল্টো। আমার কাছে ডায়েট হল খাবারের খাদ্যগুণ বজায় রেখে সুস্বাদু ডিশ বানানো।
সাধারণত শসা টমেটো পিঁয়াজ কেটে দিলেই স্যালাড হয়। কিন্তু শসা, টমেটো, পিঁয়াজ, গাজর, ক্যাপসিকাম একটু ধনেপাতা ঝিরিঝিরি করে কুঁচিয়ে দুটি সেদ্ধ ডিমের সাদা অংশ টুকরো করে দিয়ে একটু অলিভ অয়েল ছড়িয়ে দিন। এক্সট্রা ক্রাঞ্চ এর জন্য দু চামচ রেড রাইস শুকনো তাওয়ায় রোস্ট করে মিক্সিতে আধা ভাঙ্গা করে ছড়িয়ে দিন। বিশ্বাস করুন একবোল খেয়ে ফেললেও আপনার মন ভরবে না।
আবার একই ভাবে আপেল, বেদানা, পাকাপেঁপে, কলা , আঙুর কুঁচিয়ে সামান্য অলিভ অয়েল ছড়িয়ে একটু পুদিনা পাতার কুঁচি দিয়ে স্যালাড বানান লাঞ্চের পরের খাই খাই মেটাতে এর জুড়ি নেই।
যাইহোক এসব স্যালাডের গল্প আরেকদিন করা যেতেই পারে। আপাতত শীতের মরশুমের একটা স্পেশাল ডিশ বলি।
শীতের সেরা সব্জী হল ফুলকপি। আনন্দের আতিশয্যে একগাদা কিনে এনে পরপর কদিন খেলেই বিরক্তি। এইফুলকপির একটা সহজ রেসিপি হল কপি গুলোকে দশ মিনিট ফুটন্ত জলে ভিজিয়ে রেখে তুলে ভালো করে জল ঝরিয়ে নিন। এবার একটা মিক্সিতে আধাবাটা করুন। মানে কপির ক্রাঞ্চ যেন থাকে কিন্ত গুঁড়ো গুঁড়ো হয়। খুব ভালো হয় যদি কপিগুলোকে গ্রেটার দিয়ে ঘষে নেওয়া যায়। এরসাথে রোস্টেড মুগড়ালের গুঁড়ো, ওটসের গুঁড়ো মেশান। এরপর ভাঁজা ধনে-জিরে- শুকনোলঙ্কার গুঁড়ো আর স্বাদ অনুযায়ী নুন ঝাল দিয়ে টাইট করে মেখে নিন। লেচি কেটে আটা মাখিয়ে বেলে ভেজে তুললেই গোবি কা পরাঠা রেডি।
অনেকে বলেন ভাত খাওয়া কিকরে কমাবো? খিদে পায় তো !! এইখানে ফুলকপির বেশ কাজের। এক কাপ ভাত আর এক কাপ গ্রেটেড ফুলকপি নিন। কড়াই তে জিরে শুকনোলঙ্কা ফোরণ দিয়ে ভাত দিন, তারপর ফুলকপির গুঁড়ো দিন। সবশেষে স্বাদমত নুন মিষ্টি দিয়ে নেড়েচেড়ে নামান। টেষ্ট ভি হেল্থ ভী।
এই সুযোগে আর একটা ঝটপট রান্না মনে পড়ল। সেটা হল বড় সাইজের একটা ক্যাপসিকাম, শক্ত টমেটো আর পিঁয়াজ নিন। গ্যাসে বা মাইক্রো তে তিনটেকেই গোটা অবস্থায় রোষ্ট করুন। যেহেতু এগুলো সবই কাঁচা খাওয়ার সব্জী তাই পুড়িয়ে একেবারে সিদ্ধ করার দরকার নেই। একটা ছুরি দিয়ে রোস্টেড সব্জী গুলোকে পাতলা পাতলা স্লাইস করে নুন, অলিভ অয়েল বা সর্ষে তেল, অল্প ভাপিয়ে নেওয়া মাশরুম কুঁচি দিয়ে মাখুন। ভাঁজা লঙ্কা বা কাঁচালঙ্কা কুঁচি ছড়িয়ে গরম ভাত বা রুটি দিয়ে টেরাই মারুন। বিলিভ মি ডায়েট ইজ সো ইজি।
রোজকার কাজকর্ম সামলে যে জিনিষটা আমি সবচেয়ে কম সময়ে ঝটপট করতে পারি তা হল 'রান্না'। অবাক হওয়ার কিচ্ছু নেই। ছোটবেলা থেকেই আমি মানুষটা চূড়ান্ত ফাঁকিবাজ। যে কোন কাজ কে সংক্ষিপ্ত ভাবে করার পদ্ধতি আবিষ্কার করা টা আমার একমাত্র গুণ। এখন কথা হল এইসব ফাঁকিবাজি রান্নাগুলো যে সবসময় বিশাল কিছু অমৃত সমান খেতে হয় তা নয়, তবে অনেকেই আমাকে মাঝে মাঝে জিজ্ঞেস করেন তুমি কি ডায়েট কর? তারা আসলে ভাবেন ডায়েট মানে বোধ হয় খুব বিচ্ছিরি কোন খাবার খুব অল্প পরিমাণে খেয়ে আধপেটা থাকতে হয়। আসলে কিন্তু উল্টো। আমার কাছে ডায়েট হল খাবারের খাদ্যগুণ বজায় রেখে সুস্বাদু ডিশ বানানো।
সাধারণত শসা টমেটো পিঁয়াজ কেটে দিলেই স্যালাড হয়। কিন্তু শসা, টমেটো, পিঁয়াজ, গাজর, ক্যাপসিকাম একটু ধনেপাতা ঝিরিঝিরি করে কুঁচিয়ে দুটি সেদ্ধ ডিমের সাদা অংশ টুকরো করে দিয়ে একটু অলিভ অয়েল ছড়িয়ে দিন। এক্সট্রা ক্রাঞ্চ এর জন্য দু চামচ রেড রাইস শুকনো তাওয়ায় রোস্ট করে মিক্সিতে আধা ভাঙ্গা করে ছড়িয়ে দিন। বিশ্বাস করুন একবোল খেয়ে ফেললেও আপনার মন ভরবে না।
আবার একই ভাবে আপেল, বেদানা, পাকাপেঁপে, কলা , আঙুর কুঁচিয়ে সামান্য অলিভ অয়েল ছড়িয়ে একটু পুদিনা পাতার কুঁচি দিয়ে স্যালাড বানান লাঞ্চের পরের খাই খাই মেটাতে এর জুড়ি নেই।
যাইহোক এসব স্যালাডের গল্প আরেকদিন করা যেতেই পারে। আপাতত শীতের মরশুমের একটা স্পেশাল ডিশ বলি।
শীতের সেরা সব্জী হল ফুলকপি। আনন্দের আতিশয্যে একগাদা কিনে এনে পরপর কদিন খেলেই বিরক্তি। এইফুলকপির একটা সহজ রেসিপি হল কপি গুলোকে দশ মিনিট ফুটন্ত জলে ভিজিয়ে রেখে তুলে ভালো করে জল ঝরিয়ে নিন। এবার একটা মিক্সিতে আধাবাটা করুন। মানে কপির ক্রাঞ্চ যেন থাকে কিন্ত গুঁড়ো গুঁড়ো হয়। খুব ভালো হয় যদি কপিগুলোকে গ্রেটার দিয়ে ঘষে নেওয়া যায়। এরসাথে রোস্টেড মুগড়ালের গুঁড়ো, ওটসের গুঁড়ো মেশান। এরপর ভাঁজা ধনে-জিরে- শুকনোলঙ্কার গুঁড়ো আর স্বাদ অনুযায়ী নুন ঝাল দিয়ে টাইট করে মেখে নিন। লেচি কেটে আটা মাখিয়ে বেলে ভেজে তুললেই গোবি কা পরাঠা রেডি।
অনেকে বলেন ভাত খাওয়া কিকরে কমাবো? খিদে পায় তো !! এইখানে ফুলকপির বেশ কাজের। এক কাপ ভাত আর এক কাপ গ্রেটেড ফুলকপি নিন। কড়াই তে জিরে শুকনোলঙ্কা ফোরণ দিয়ে ভাত দিন, তারপর ফুলকপির গুঁড়ো দিন। সবশেষে স্বাদমত নুন মিষ্টি দিয়ে নেড়েচেড়ে নামান। টেষ্ট ভি হেল্থ ভী।
এই সুযোগে আর একটা ঝটপট রান্না মনে পড়ল। সেটা হল বড় সাইজের একটা ক্যাপসিকাম, শক্ত টমেটো আর পিঁয়াজ নিন। গ্যাসে বা মাইক্রো তে তিনটেকেই গোটা অবস্থায় রোষ্ট করুন। যেহেতু এগুলো সবই কাঁচা খাওয়ার সব্জী তাই পুড়িয়ে একেবারে সিদ্ধ করার দরকার নেই। একটা ছুরি দিয়ে রোস্টেড সব্জী গুলোকে পাতলা পাতলা স্লাইস করে নুন, অলিভ অয়েল বা সর্ষে তেল, অল্প ভাপিয়ে নেওয়া মাশরুম কুঁচি দিয়ে মাখুন। ভাঁজা লঙ্কা বা কাঁচালঙ্কা কুঁচি ছড়িয়ে গরম ভাত বা রুটি দিয়ে টেরাই মারুন। বিলিভ মি ডায়েট ইজ সো ইজি।
Comments